কয়েক দিনের শীতে খুলনাঞ্চলের জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর খুলনার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ খুলনা গেজেটকে বলেন, শনিবার (১২ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীত বাড়ার পর গত এক সপ্তাহে এটাই ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মাঝারি (৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) ধরণের শৈত্যপ্রবাহের মধ্যদিয়ে যেতে হতে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা শহরের নিম্ন আয়ের অন্তত ১২ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অব্যাহত শীতে তাঁদের অধিকাংশের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কাজকর্মে গতি কমে যাওয়ায় অনেকের রোজগার কমে গেছে।
খুলনা নগরের হাজী মহাসিন রোড়-এলাকার রিকশাচালক মো. রফিকুল সরদার বলেন, আগে তিনি ভোরে রিকশা নিয়ে বের হতেন। এখন শীতের কারণে তা পারছেন না। অন্যদিকে রিকশায় ঠান্ডা বেশি লাগায় যাত্রীও কম পাচ্ছেন।
শহরের বড় বাজার এলাকায় কাজের অপেক্ষায় থাকা দিনমজুর শামছের আলী বলেন, ‘শীতির জন্যি দেরি করে বেলা হুত্যি। বাড়িততে অ্যাসি আর কাজ পাওয়া যাত্যি না। তিনদিন ধরে কাজকর্মের জন্যি বসে থাক্যি থাক্যি চলে যাওয়া লাগদ্যি।’
সরেজমিনে বেলা এগরোটার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও খুমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শীতের কারণে প্রত্যেক মানুষ গায়ে গরম কাপড় পরেছেন। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কিছুটা কম ছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে শিশু ওয়ার্ড পর্যন্ত মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
এদিকে শীত জেঁকে বসার কারণে ভোগান্তির কবলে পড়ছেন চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে নিয়োজিত চাষিরা। জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলা সদরের মহাসড়কগুলোর অধিকাংশ রাস্তায় ঘন কুয়াশায় যাত্রী ও মালবাহী যানগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন।
খুলনা গেজেট / এআর