‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় আজ (সোমবার) জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংকের পাশাপাশি বীমা খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। বীমা শিল্পের প্রসার এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রধানমন্ত্রী ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বীমা বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা দূর করতে হবে। একই সাথে হয়রানি এড়াতে বীমার পলিসি গ্রহীতাদের এ বিষয়ক কাগজপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণের পরামর্শ দিতে হবে। বীমা শিল্পের বিকাশ দেশের অর্থনীতির স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ০.৫৬ শতাংশ। সম্ভাবনাময় আর্থিক খাত হিসেবে বীমার বিকাশের জন্য সরকার বীমা আইন ২০১০ প্রণয়ন করেছে। একই সাথে ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার বিশ্বাস। এসময় জীবন বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম অরুন কুমার চক্রবর্তী, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের এজিএম মশিউর রহমান, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রতিনিধি সাইফুর রহমান জুয়েল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বীমার গুরুত্ব’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান এবং বিভিন্ন বীমা কোম্পানির বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করা হয়। সূত্র : তথ্য বিবরণী।
খুলনা গেজেট/এনএম