খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আজ রাত পোহালেই আগামীকাল খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাঙ্খিত ভোট। এবার কেসিসির সব কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।
রোববার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন(গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে নগরীতে টহল দিচ্ছে বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। নির্বাচনী মাঠে থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পর্যবেক্ষক থাকবেন বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো কার্যক্রম চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে। এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ জন।
খুলনা গেজেট/এসজেড