নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একই সাথে করোনার ডাবল ডোজ নেওয়া রোকনুজ্জামান (৩৬)। তীব্র ব্যাথায় বামহাত ঠিকমতো কাজ করছে না। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক বাসায় এলেও কোন পরামর্শপত্র তাকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার সন্ধ্যায় খুলনা গেজেটকে রোকনুজ্জামান জানান, পেশায় তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক। পারিবারিক চাপে পড়ে অনলাইনে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় টিকাকেন্দ্রে প্রবেশ করে। প্রেসার ও ডায়াবেটিক আছে কী না? নার্সের উত্তরে জানান না। এরপর ঐ নার্স তার বামহাতে ভ্যাকসিন পুশ করে। এর ত্রিশ সেকেন্ড পরে অন্য একজন নার্স এসে আরও একটি ডোজ পুশ করে।
পাশে বসা এক ভদ্রলোক চিৎকার করে নার্সকে বলেন, “আপনি কী করলেন, তার হাতে কিছুক্ষণ আগে টিকা দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ডাবলডোজ দেয়ার পর হাসপাতালে শোরগোল করলে সেখানকার লোকজন তাকে বের করার জন্য তৎপর হয়। আত্মীয় স্বজনকেও টিকাকেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি তারা। এমনকি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেও রাখা হয়নি তাকে। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে একটি রুমের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য বসিয়ে রাখা হয়। কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। দুপুর সাড়ে তিনটায় পরিবারের সদস্যদের সাথে বাড়ি চলে আসে। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক বাসায় এসে শরীর চেকআপ করলেও কোন ব্যবস্থাপত্র দেয়নি। ডাবলডোজ দেওয়ার ফলে মাথা ভার হয়ে থাকছে। বামহাতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। শরীরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ থাকায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন। এমনিতো লকডাউনে এতোদিন কোন কাজ নেই, তারপর এ ধাক্কা। কী করে চলবে তাদের সংসার এ নিয়ে চিন্তিত তার স্ত্রী।
খুলনা গেজেট/কেএম