প্রায় দুই বছর আগে কাজ শেষ হওয়া খুলনা-চুকনগর- সাতক্ষীরা মহাসড়কের উদ্বোধন করা হবে আগামী বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সড়কটি উদ্বোধন করবেন। সড়কটি ২৯ কিলোমিটার অংশ পুনর্নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা।
সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর ভোমরার সঙ্গে সারাদেশে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক। এছাড়া দক্ষিণের জেলা উপজেলা থেকে খুলনায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক। মহাসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে খুলনা অংশে পড়েছে ৩৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১ মার্চ। শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৩০ জুন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন কর্মসূচি সফল করতে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সোমবার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভায় জানানো হয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় দেশের ৫১টি জেলার মধ্যে খুলনা ও টাঙ্গাইল জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের মহাসড়ক রয়েছে ৩৫২ কোলোমিটার। এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়াম প্রান্তের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে সভায় আশা করা হয়।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিকুর রহমান খান, কেএমপি’র উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, মকবুল হোসেন মিন্টু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।