পৌষের শুরুতেই খুলনায় জেঁকে বসেছিল শীত। কয়েকদিনে এই অঞ্চলে কিছুটা শীতের প্রভাব পড়েছে, তাপমাত্রাও কমছে। এরই মধ্যে খুলনাঞ্চলে গেল চার দিনের ব্যবধানে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আগামী সপ্তাহে এর তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছিল সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (২৭ ডিসেম্বর) খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১১ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার খুলনাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার সন্ধ্যায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সন্ধ্যায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার (২০ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ১ ও সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে কমে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ সন্ধ্যায় খুলনা গেজেটকে বলেন, গত তিন দিনে খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার কুয়াশা কমে গিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর ফলে শীতের প্রকোপ কিছুটা বাড়বে। আগামী ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে। এমনকি তা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়েও যেতে পারে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বিভিন্ন মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৬ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশের মধ্যে।
খুলনা গেজেট / এআর / এমএইচবি