খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য থানায় লিখিত আবেদন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো: আতিয়ার রহমান। এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় এ আবেদনটি করেন।
আবেদন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো: কবিরুল ইসলাম ব্যবসা করার জন্য আতিয়ার রহমানের নিকট থেকে ৩২ লাখ টাকা ধার নেয়। এরপর সে পালিয়ে যায়। গত ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাকা পরিশোধ করার নামে আতিয়ারকে উল্লিখিত টাকার পরিমাণে একটি চেক প্রদান করে কবির । খুবি’র ওই কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এরপর একই বছরের ৩০ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে কবিরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। লিগ্যাল নোটিশ প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় কবিরকে আসামি করে এনআই এ্যাক্টে আদালতে মামলা দায়ের করেন খুবি কর্মকর্তা।
পরে অভিযোগের সত্যতা থাকায় মামলাটি আমলে নেন আদালত এবং আসামির প্রতি সমন ইস্যু করা হয়। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই কবিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয। যুক্তিতর্ক শেষে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: শাহিনুর রহমান ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় প্রতারক কবিরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং চেকে উল্লিখিত টাকার সমপরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পাবনার স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করলেও কবির ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জাফরাবাদ পুলিরপার এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করলে এ বছরের ১০ জানুয়ারি আদালত কবিরের বর্তমান ঠিকানায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত উক্ত আসামিকে পুলিশ একমাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে বাদির অভিযোগ।
খুলনা গেজেট/এনএম