আমনের ভরা মৌসুমে বস্তা প্রতি চালের দাম দেড়শ’ টাকা বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর নড়ে চড়ে বসেছে। সরকারি খাদ্য গুদামে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত মজুদ থাকার পর দাম বাড়ায় বিস্মিত হয়েছে অধিদপ্তর। সরকারিভাবে আমদানি হলেও দাম কমছেনা। অবৈধ মজুদ আছে কি না এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের নাম ঠিকানা চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক , খুলনাকে নির্দেশ দিয়েছে।
আমনের ভরা মৌসুমে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়াতপুর থেকে প্রতিদিন ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে ধান আসছে। ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, লবনচরা, রূপসা ও বয়রা রাইসমিল গুলোতে ধান সরবরাহ হচ্ছে। ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা নানা ধরণের চাল নগরীর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারিভাবে ভারত থেকে ট্রেন ও জাহাজযোগে চাল আসছে। জেলার দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামসহ ১০ টি গুদামে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২শ’ ৫৮ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। এর মধ্যেও চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অধিদপ্তর অবৈধভাবে মজুদকে ইঙ্গিত করেছে। এ কারণেই অধিদপ্তর অবৈধ মজুদদারদের নাম ঠিকানা চেয়েছে। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মাহাবুবুর রহমান গত সোমবার এক দাপ্তরিকপত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবৈধভাবে খাদ্য মজুদদারদের নাম ঠিকানা জানতে চেয়েছেন।
জেলায় দু’শ রাইস মিলে ও পাইকারী দোকানে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি টিম কাজ করবে। গত ১১ আগস্ট মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্য সিনিয়র বাজার কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, খুলনার কোন মিলে অস্বাভাবিক মজুদ দেখতে পাননি। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ধান ও চালের মূল্য বাড়ে। ব্যবসায়ী কাজী আব্দুস সোবহান জানান, সে সময় ধানের মূল্য বাড়ার কারণে চালের মূল্য বাড়ে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৪-৫৫ টাকা, চিকন চাল ৬২-৬৪ টাকা ও আতপ চাল ৪৩-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই