খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  দুর্গাপূজার ছুটি বৃহস্পতিবার একদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
  খুলনায় মাদক মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত
জেলা খাদ্য কর্মকর্তার প্রতিবেদন

‘খুলনার রাইস মিল ও আড়তে ধান-চালের অস্বাভাবিক মজুদ নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপকূলবর্তী জেলা খুলনার ৯ উপজেলা ও মহানগরীর রাইস মিল এবং পাইকারি আড়তে ধান- চালের অস্বাভাবিক মজুদ নেই। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জেলার মজুদ পরিস্থিতি প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং করছে। সপ্তাহের ছয় দিনই চালের বাজার পারদের মতো ওঠানামা করে। কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী মঙ্গলবার মোটা চাল সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ৪৪ টাকা এবং চিকন চাল সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হয়।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুলনা জেলায় ধান ও চাল অস্বাভাবিক মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে কী না ৭ জানুয়ারির মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য চেয়ে পাঠান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ বাবুল হোসেন খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন জেলার কোন রাইস মিল ও পাইকারি আড়তদারদের দোকানে অস্বাভাবিক মজুদ নেই।

সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মোঃ জাহিদুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন ধান ও চালের বাজার দর এবং মজুদ পরিস্থিতির ওপর প্রতি সপ্তাহে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। সপ্তাহের ছয় দিনই চালের মূল্য উঠানামা করে। তিনি বলেন,শীত মৌসুমে চাতালে ধান শুকাতে দেরি হওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে। অটো রাইস মিলে দু’ হাজার মে:ট: চাল এবং তিন হাজার মে:ট: ধান মজুদ রাখার নিয়ম থাকলেও সেই পরিমান নেই। তিনি মহানগরীর লবনচরার তিনটি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার চারটি রাইস মিল পরিদর্শন করেন।

এর আগে গত বছরের ১ জুলাই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ধান-চালের মাত্রাতিরিক্ত মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও মূল্য বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে আহ্বায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন দেন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে মূল্য বেড়েছে। তাদের সুপারিশ ছিল মোটা ধানের আবাদ বাড়াতে হবে। আমদানির মাধ্যমে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে হবে। সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, মোটা চাল কেজি প্রতি ৪৪-৪৬, মাঝারি ৫৪-৫৫, চিকন ৬২-৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোবাহান অটো রাইস মিলের মালিক কাজী নিজাম উদ্দিন জানান, পাইকারি বাজারে মূল্য বাড়েনি। খুচরা বাজারে বেড়েছে। এ রাইস মিলে ধান মজুদ নেই।

নিউ মার্কেটের খুচরা চাল ব্যবসায়ী লাল মিয়া মঙ্গলবার জানান, মোটা চাল কেজি প্রতি ৪৫, মাঝারি ৪৮ এবং চিকন ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত যমুনা ভোগ নামের চিকন চাল কেজি প্রতি ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!