এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। রবিবার (১৮ জুলাই) তিনি খুলনা মুখ্য মহানগর আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন।
চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলো, আযম, সোহাগ, নাসির, তুহিন, শাহিন, রাজা, জাহিদ, হাসান, বেল্লাল, মুরাদ, জ্যামি, মিলন, রহাত, ফোরকান, নাজমুল, বাবু তালুকদার, রিপন আহমেদ মিরাজ, রায়হান বাবু, নুর আলম, ফাতেমা, এজাজুল, ইয়সিন, আলামিন, সেলিম, আসলাম, জুয়েল, সোহরাব, ,মনি, সেতু ওরফে তপু, মোয়াজ্জেম মোল্লা, আজিম। উল্লেখিত আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক ও চারজন কারাগারে এবং বাকীরা জামিনে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ইউরোপের বাসিন্দা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা। এলাকায় প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি ছিল তার। তিনি অন্যায় সহ্য করতে পারতেন না। এ নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে তার মতবিরোধে হয়। বিরোধের একপর্যায়ে স্থানীয় ওই সন্ত্রাসীরা তার একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেয়। ২০১৭ সালের ১ মে স্থানীয় প্রভাবশালী তুহিনের সাথে একটি সভায় নিহতের সাথে কথা কাটাকাটিও হয়। একপর্যায়ে তুহিন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে নিহত শাহাদাৎ একটি জিডিও করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালের ১৪ জুন বিকেলে হরিণটানা থানা এলাকার হামিদ নগর স্কুল মাঠে ২৭ রমজানে রোযাদারদের ইফতার দেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আলোচনা চলছিল। ঠিক সেই মুহুর্তে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালায়। সেখানে এলোপাতাড়িভাবে ৪২ রাউন্ড শটগানের গুলি করা হয়। স্থানীয়রা প্রাণে বেচে গেলেও ঘটনাস্থলে শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে আল মামুন বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণটানা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে কর্মকর্তা উল্লেখিতদের নামে চার্জশীট দাখিল করেন। এদের মধ্যে ১০ আসামি তাদের অপরাধ স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।