খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান বলেছেন, খুলনার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন জননেতা খান এ সবুর। তিনি ছিলেন খুলনার উন্নয়নে এবং আধুনিক খুলনা গড়ার কারিগর। এ কারণে ১৯৭৯ সালে মুসলিম লীগের মনোনয়নে খুলনার ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হন। বরণ্য এ নেতা অভূতপূর্ব বিজয়ের সংবাদে নীরবে অশ্রু ফেলেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় তিনি খুলনার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার অবদান পাক-ভারত উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছে।
খান এ সবুরের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ তার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে শনিবার বেলা ১১টায় সবুর লজে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। খান এ সবুর স্মৃতি সংসদ, খুলনা এর আয়োজক। মরহুম নেতা বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ভারতের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ভিন্নমতের মানুষদের প্রাধান্য দিতেন। মানুষের কল্যাণে এবং রাজনীতিকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। বৃটিশ আমল থেকে পাকিস্তান জামানা পর্যন্ত দিনরাত তিনি খুলনার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। খুলনা গড়ার জন্য কিছু নিবেদিত কর্মীও তৈরি করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে নির্যাতন সহ্য করেও আদর্শ ও ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন থেকে পিছপা হননি। আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন খান এ সবুর স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর ফকির রেজাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোল্লা মাসুম আল রশীদ, শেখ আব্দুল আজিজ, সদস্য সচিব নুরুল হাসান রুবা। বক্তৃতা করেন মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, মুসলিম লীগের নগর সভাপতি শেখ জাহিদুল ইসলাম, ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব মুন্সী, নগর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সেরাজ উদ্দিন সেন্টু প্রমুখ
দু’পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মরহুম খান এ সবুর, মুসলিম লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত মৃত নেতৃবৃন্দ ও কোটা বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম