খুলনায় পেঁয়াজের বাজার আবারও উর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ক্রেতাদের।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়।
খুলনা ট্রাক টার্মিনালের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও জামাল বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক মো: সেলিম জানান, তিনদিন ধরে বাজারে পেঁয়াজের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। খুলনায় এ পণ্যটির সিংহভাগ আসে ফরিদপুর থেকে। সেখানে দাম বেড়েছে। এছাড়া প্রতিকেজি পেঁয়াজ আনতে তাকে আরও দু’টাকা করে গুনতে হয়। এটি পাইকারীতে ৩৪ টাকার নিচে বিক্রি করলেই লস হবে। দাম বাড়ার জন্য তিনি গত সপ্তাহের বৃষ্টিকে দায়ী করছেন।
একই বাজারের ব্যবসায়ী ও হেলাল ভান্ডারের মালিক মো: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এ বাজারে সাত ট্রাক পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেখানে আসছে মাত্র তিন ট্রাক। গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে অনেক কৃষকের বীজতলা ডুবে যায়। তারা মাঠে নামতে পারেনি। অনেক পেঁয়াজ ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া ফরিদপুরের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি খুব কম। সেখানে দামবৃদ্ধির ফলে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী মো: কামরুল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারী পর্যায়ে প্রতিকেজি বিক্রি করা হয়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি খুব কম। ফরিদপুরের মোকামগুলোতে ভাল মানের পেঁয়াজ আসছেনা, অধিকাংশ পঁচা। ব্যাপারীরা ভাল পেঁয়াজ পাচ্ছেন না। যা পাচ্ছে তা বেশী দর দিয়ে তাদের কিনতে হচ্ছে। আজ বাজার খুব গরম। মানভেদে প্রতিমন পেঁয়াজ মোকাম থেকে ১২ থেকে ১৪শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই ৩৫ টাকার নিচে বিক্রি করলে তার লস হবে। মালের আমদানি হলে দাম কমবে, আর আমদানি কম হলে আরও বাড়ার সংকেত দিয়েছেন তিনি।
সোহেল আরমান নামে এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “তেল, চাল, ও ডালের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছেনা। দিনের পর দিন এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যআয়ের মানুষেরা না খেয়ে মরার উপক্রম হবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম