খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৮
  বিএনপি কর্মী খুনের মামলায় সাবের হোসেন ৫ দিনের রিমান্ডে
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

খুলনার পল্লীতে পানির স্তর নেমেছে গড়ে সাত ফুট

কাজী মোতাহার রহমান

আট মাস ধরে উপকূলবর্তী জেলায় কাঙ্খিত বৃষ্টি হচ্ছে না। মে মাসে একাধিক দিনে বৃষ্টি হবে এমন পূর্বাভাস দিলেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। ফলে খুলনা জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে কম-বেশি পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গেল বছরের তুলনায় এবার পল্লী এলাকায় পানির স্তর গড়ে সাত ফুট নিচে নেমেছে। অপরিকল্পিতভাবে সাব-মার্সিবল টিউবওয়েল বসানোর ফলে গবাদী পশুর খামার ও ভবন নির্মাণে খাবার পানি অপচয় হচ্ছে।

খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে গভীর নলকূপ সফল হয় না। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, সদর, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, পাইকগাছার সবক’টি ইউনিয়ন। দাকোপের তিলডাঙ্গা, বানিশান্তা, পানখালী, বটিয়াঘাটার সুরখালী ও জলমা ইউনিয়নে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফুলতলা ও রূপসা উপজেলারও কিছু অংশে খাবার পানির সংকট চলছে। জেলার ৩০ শতাংশ মানুষ পানির সংকটে ভুগছে। দীর্ঘ আট মাস বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ৭৮ হাজার গভীর নলকূপে এই একই সমস্যা। গেল বছর এসব উপজেলায় ১৮ থেকে ২২ ফুট পানির স্তর নামলেও এবছর ক্ষেত্র বিশেষ ২৫ থেকে ২৭ ফুট নিচে পানির স্তর নেমেছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, বিভিন্ন স্তরে পুকুর ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা উজাড় হচ্ছে। প্রকৃতিতে বৈরী ভাব চলছে সারা বছর। এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানি প্রায় প্রতিটি বাড়িতে উত্তোলন করা হচ্ছে। এ পানি অনেক ক্ষেত্রে গবাদী পশুর খামার, ভবন নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণে পাথর-খোয়া ভেজানো এবং বালি ভরাটেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আকমল হোসেন জানান, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় সংকট মেটানো হতো। কিন্তু এ মৌসুমের বড় একটি সময় বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প অনেক ক্ষেত্রে অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় সর্বত্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ইয়াস নামক ঘূর্ণিঝড়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের লক্ষে কয়রা উপজেলায় ২৪ মে থেকে আজ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন পুকুর ও নদীর পানি পরিশোধন করে খাবার উপযোগী করা হয়েছে।

কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, উপকূলীয় এলাকায় সবসময়ই খাবার পানির সংকট চলছে। অগভীর নলকূপে লবণ ও আর্সেনিক শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে এখানকার পানি নিরাপদ নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!