খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

খুলনায় টুম্পা হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের ফাঁসি, একজন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার ডুমুরিয়ায় টুম্পা রানী মন্ডল (২৫) হত্যা মামলায় তার স্বামী প্রসেনজিৎ গাইনসহ তিনজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হল- একই এলাকার অনিমেষ মন্ডল, প্রসেনজিৎ গাইন ও বিপ্লব মন্ডল। নিরাপরাদ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস পেয়েছেন সুদাশ গাইন। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ডুমুরিয়ার ঘ্যাংরাইল নদীতে ভাসমান গলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের সুরঞ্জন মণ্ডলের কন্যা টুম্পা রানী মণ্ডলের সাথে একই উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের পরিমল গাইনের পুত্র প্রসেনজিৎ গাইনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তারা গোপনে বিয়ে করে এবং খুলনা শহরে ভাড়া বাসায় সংসার জীবন শুরু করেছিল। ঘটনাটি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে দু’পক্ষই আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ও ধুমধামের সাথে পুনরায় বিয়ের কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। কিছুদিন পরেই স্বামীপক্ষ সবকিছু অস্বীকার ও অসদাচরণ শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে টুম্পা শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করলে তাকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে টুম্পা রানী মন্ডল বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এসব কর্মকাণ্ডের কিছুদিন পর স্বামী প্রসেনজিৎ স্ত্রীর স্বীকৃতি ও মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে টুম্পার সাথে গোপনে আবারো যোগাযোগ শুরু করে। স্বামীর কথায় রাজি হয়ে টুম্পাও বিভিন্ন সময় মুঠোফোন ও সরাসরি তার সাথে সাক্ষাৎ করে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে টুম্পা স্বামীর সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। সেই থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার মা-বাবা। ওই বছরের ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শোভনা ইউনিয়নের বাদুরগাছা মঠ-মন্দিরের পাশে ঘ্যাংরাইল নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক নারীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে টুম্পার স্বজনদের খবর দেয় এবং মৃতদেহটি শনাক্ত শেষে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সমিত মন্ডল বাদি হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কেরামত আলী ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ছিলেন এ্যাড. এনামুল হক।

মামলার বাদী নিহতের ভাই সমিত মণ্ডল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায্য বিচার হয়েছে। এরায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।

 

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!