খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায় আগামী ২৮ মার্চ ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুেনালের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এই দিনে ধার্য করেন। জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেমের মেয়ে অনামিকা তনু এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস ছাড়া আর কোন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে গত ৩ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট সগীর উদ্দিন আহমদের স্বাক্ষ্যদানের মধ্য দিয়ে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ মামলার বাদি রূপসা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের শেখ আলমগীর হোসেন ইতিমধ্যেই ইন্তেকাল করেছেন। মামলা দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে স্টে ছিল। উচ্চ আদালত ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট ভ্যাকেট রুল নিষ্পত্তি করে স্টে আদেশ প্রত্যাহার করেন। এ আদেশ এ বছরের ৩ জানুয়ারি খুলনায় এসে পৌঁছায়।
খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষীদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৬ জানুয়ারি, ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৫ মার্চ ও আজ ২৩ মার্চ এ মামলার অন্যতম আসামি খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পলাতক আসামিরা গত চারটি ধার্য দিনেও উপস্থিত হয়নি। তাদের পক্ষে স্ট্রেট ডিফেন্স দিচ্ছে এড. আব্দুল লতিফ।
শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায় আসামিরা হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, তরিকুল হুদা টপি, মফিজুর রহমান, ওয়াসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, আনিছুর রহমান ওরফে মিল্টন ও মো. তারেক।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল স্যার ইকবল রোডস্থ বেসিক ব্যাংকের সামনে জাপা নেতা শেখ আবুল কাশেম খুন হন। এরপর দীর্ঘ ২৬ বছর পর মামলার রায় হতে যাচ্ছে।
খুলনো গেজেট/এনএম