খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮
জেলা পরিষদ নির্বাচন : প্রার্থীদের হলফনামা

খুলনার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কার কতো আয় সম্পদ দেনা

এইচ হিমালয়

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন প্রার্থী। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয় ও সম্পদের বিবরণসহ ৮টি তথ্য জমা দিয়েছেন তারা।

হলফনামার তথ্যে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এবং ডা. শেখ বাহারুল আলম তিন জনই স্নাতক উত্তীর্ণ।

শেখ হারুনুর রশীদের আয়ের উৎস বাড়ি ভাড়া, জেলা পরিষদের পারিতোষিক আয়, কৃষি আয়, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের সুদ। এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা আয়ের উৎস হিসেবে ঠিকাদারি, কার্গো ব্যবসা, কয়লা পাইকারী ব্যবসা, কৃষি ও এফডিআর সুদকে উল্লেখ করেছেন। বিএমএ’র পুন:নির্বাচিত সভাপতি ডা. বাহারুল আলম পেশা হিসেবে চিকিৎসা এবং ব্যবসা হিসেবে এপিসি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের তথ্য উল্লেখ করছেন।

তিন প্রার্থীর মধ্যে শেখ হারুনুর রশীদ ও ডা. বাহারুল আলমের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা ছিলো না। মোর্ত্তজা রশিদী দারা স্নাতক উত্তীর্ণ। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ছিলো। সবগুলোতেই তিনি খালাস পেয়েছেন।

হলফনামায় দেখা গেছে, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ টাকা। তিনি প্রতিবছর কৃষি খাত থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার, বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকের সুদ থেকে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আয় করেন। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতি মাসে ৫৪ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে ১৫ হাজার ৩৩৩ টাকা পান।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে শেখ হারুনুর রশীদের কাছে নগদ ২ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ৯৩ লাখ ও ২০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কৃষি জমি রয়েছে ৮ দশমিক ৬১ একর।

হলফনামায় নির্ভরশীলদের সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে শেখ হানুরুর রশীদের স্ত্রীর কাছে নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫০ লাখ ৬ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত, সাড়ে ৯ লাখ টাকার মূল্যে একটি গাড়ি এবং ৫০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

হলফনামায় দেখা গেছে, ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারার বার্ষিক আয় ১৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে বছরে ২০ হাজার, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ৭৫ হাজার এবং এফডিআর সুদ থেকে ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

দারার কাছে নগদ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫০ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। এছাড়া ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি কার্গো ও ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দামের গাড়ি রয়েছে তার। বেসিক ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।

হলফনামায় দারার স্ত্রী কাছে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং ১২ তোলা স্বর্ণ রয়েছে বলে তিনি হিসাব দিয়েছেন।

অপর প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম এমবিবিএস উত্তীর্ণ। চিকিৎসা পেশা ও ওষুধ ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা। তার কাছে নগদ ৬ লাখ ৭ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৪ লাখ এবং ৯ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। দুটি গাড়ি রয়েছে তার। তবে গাড়ির মূল্য তিনি উল্লেখ করেননি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!