দক্ষিণাঞ্চলে চালের মূল্যের উর্দ্ধগতি থামাতে পাঁচ দিন আগ থেকে বিশেষ ওএমএস চালু হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি হচ্ছে।
জেলার চালনা ও পাইকগাছা পৌর এলাকার ৭টি পয়েন্টে ওএমএস চালু হয়েছে। এতে চালের বাজারে প্রভাব পড়েনি। মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৫ ও চিকন চাল সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণাঞ্চলে চালের মূল্য অস্থিতিশীল। প্রতিদিন দাম বাড়া-কমার খবর আসছে। ক্ষেত্র বিশেষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছে। যশোরের নওয়াপাড়া ও বড় বাজারের একটি সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ তথ্য দিয়েছে, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাইকগাছা পৌর এলাকার ৪টি এবং চালনা পৌর এলাকায় ৩টি পয়েন্টে ওএমএস চালু হয়েছে।
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে প্রতিদিন দেড় টণ করে চাল ও এক টণ আটা সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২০টি পয়েন্টে এবং দু’টি ট্রাকে করে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে চাল বিক্রি হচ্ছে।
জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, চালের মূল্য স্বাভাবিক হতে আরও ২-৩দিন সময় লাগবে। ৩/৪ শৈত্য প্রবাহের কারণে চাতালে ধান শুকাতে বিলম্ব হচ্ছে। এ কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ি রাইচ মিলগুলো চাল সরবরাহ করতে পারছে না।
তিনি জানান, জেলার দু’টি কেন্দ্রীয় ও ৮টি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে ১ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে।
কাজী রাইচ মিলের মালিক কাজী আব্দুস সোবহান জানান, রাইচ মিলগুলোতে ধান মজুদের পরিমাণ কমে এসেছে। তাছাড়া ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।
জেলা খাদ্য অফিস গত ৬ জানুয়ারি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জেলার কোন রাইচ মিল ও পাইকারী আড়তে অস্বাভাবিক মজুদ নেই।
রূপসা কাঁচা বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী সাব্বির স্টোরের মালিক মো. লাল্টু জানিয়েছেন, স্বর্ণা নামের মোটা চাল আজ প্রতিকেজি ৪২-৪৫ টাকা, মাঝারি ৪৮ টাকা ও চিকন চাল প্রকারভেদে ৫৫-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই