করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার সকলকে ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিলেও খুলনার ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রাসহ ছোট যানবাহনগুলো তা যথাযথভাবে মানছে না। ফলে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা খুলনাবাসীর ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা ৩১ মার্চ বুধবার থেকে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার খুলনার গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন স্পটে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর ইজিবাইক, রিক্সা, মাহিন্দ্রার মতো ছোট যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। গাদাগাদি করে ইজিবাইকে ৬-৮ জন যাত্রী নিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ড্রাইভার ও যাত্রীর মধ্যে নেই নিরাপদ দুরত্ব, ব্যবহার করছে না মানসম্মত মাস্কও।
দুপুর ১২ টায় শিববাড়ির মোড়ের ইজিবাইক চালক মোঃ সাকিব জানান, “আমরা পেটের দায়ে ইজিবাইক চালাই। আমরা যদি যাত্রী কম নিই তাহলে কি আমাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেবে কেসিসি?”
ইজিবাইক চালক মোঃ লতিফ বলেন, “আমার মাস্ক পরার অভ্যাস নেই , তাই মাস্ক পরছি না। তবে পকেটে আছে।”
মাস্কবিহীন ইজিবাইক যাত্রী রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা গাড়িতে সবাই নিজস্ব আত্বীয় স্বজন, তাই মাস্ক পরার প্রয়োজন মনে করছি না।”
ইজিবাইক ড্রাইভারদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা স্বীকার করে ইজিবাইক শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান মিলন বলেন, “ঝুঁকি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছে না ইজিবাইক ড্রাইভাররা। কারণ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনায় ভাড়া বাড়ানোর কথা থাকলেও ইজিবাইক ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে সে সুযোগ নেই। তাই আমরা কেসিসির কাছে আহবান জানাবো, ইজিবাইকের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করার জন্য। সেখানে যাত্রী কমানোর পাশাপাশি যেন তাদের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়।”
কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ইজিবাইক ড্রাইভারদের প্রতি কেসিসি এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে খুব শীঘ্রই নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি