সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। খুলনা মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়। ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরীতে আসা মানুষ। তবে অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধের আজ ছিল তৃতীয় দিন। এ দিনেও মানুষের চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের মত।
আজ শনিবার (১৫জানুয়ারি) সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু ও নতুন করে শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার চারশ’ ৭৭ জন। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশে। গত কয়েকদিনের শনাক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জরুরী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশজুড়ে কিন্তু তা কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছে না।
বিকেলে ডাকবাংলা মোড়ে পুলিশ সার্জেন্ট প্রীতম সাহা জানান, স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে কেউ মানছেনা। পুলিশের উপস্থিতি দেখে তাড়িঘড়ি করে মুখে মাস্ক লাগিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন অনেকে। কিছুক্ষণ আগে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে কয়েকজনকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরও দুরে গিয়ে তারা মুখ থেকে মাস্ক খুলে উন্মুক্ত হওয়ায় ঘুরেতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যায় পিকচার প্যালেস মোড়ে সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের বাণিজ্য বিভাগের সাবেক শিক্ষক মো: রুহুল আমিন শিকদারের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘কে শোনে কার কথা। করোনা ভাইরাসের এ নতুন ধরণ খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। বড় বাজারের যে অবস্থা তা দেখে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। খুব দ্রুত কাজ সেরে সেখান থেকে বের হয়েছি।’
সরকারি পাইওনিয়ার কলেজের সাবেক শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণ এভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করার পরও নগরীতে জনতার ঢল নেমেছে। মার্কেটগুলোতে জনতার উপস্থিতি দেখে মনে হয় আজ চাঁদ রাত। সামাজিক দুরত্বের বালাই এখানে অনুপস্থিত।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকেও নগরীর অবস্থা ছিল একই রকমের। মার্কেটের দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
খুলনা গেজেট/ টি আই