আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর খুলনা জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিসভা বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, খুলনায় ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত সকাল আটটায় সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল আটটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার মডেল মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে নগরীর মার্কেট, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও জনবহুলস্থানে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণ, যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে।
ঈদের দিন সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হবে। সড়ক ও নৌপথে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং মার্কেট এলাকার নিরাপত্তারক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে। ঈদের দিন সকল সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা, শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার ও স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
পরে একইস্থানে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা এবং সড়ক ও নৌপথের নিরাপত্তাসহ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবিরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ঈমাম-ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে