দেশের সকল নাগরিকের সম অধিকার নিশ্চিত করতে হলে তরুণ নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন খুলনার এক আলোচনা সভায় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট জনেরা। এছাড়া দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রোববার খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত‘‘নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে তারুণ্যের প্রত্যাশা ও সুপারিশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের মূল পর্ব এং প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন দৈনিক প্রবাহের চীফ রিপোর্টার ও অনলাইন পোর্টাল রাইজিংবিডি খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্যানেল আলোচনায় খুলনা বিশববিদ্যালয়র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান সারা মোনামি হোসেন।
বক্তব্য দেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ্যান্ড টেকনোলোজি খুলনার প্রভাষক মো. মতিউর রহমান, খুলনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সাইফ নেওয়াজ ।
ইউএসএআইড ‘র স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় আলোচনা, নাট্য প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ক্যাম্পেইনটির আওতায় ওয়েব সাইটের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে নাগরিকদের দাবি ও মতামত।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ছাড়াও ইন্টারেক্টিভ থিয়েটার, কুইজ ও ভিডিও মেসেজ প্রতিযোগিতা এবং ক্যাম্পেইনের রিল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সমকালীন বিভিন্ন ইস্যুর সমাধান নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম খুলনার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রেহেনা ঈসা ও সদস্য অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের খুলনা রিজিওনের সিনিয়র ম্যানেজার রুবায়েত হাসান, প্রতিষ্ঠানিটির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আশরুপা হক চৌধুরী ও কমিউনিকেশন অফিসার সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি