খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী। গত তিনদিনে রোগি বেড়েছে দ্বিগুণ। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট না থাকায় সাধারণ রোগীদের সাথেই রাখতে হচ্ছে তাদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে তেমন ডেঙ্গু রোগি ছিল না। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিল। আর ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা দাড়ায় ২০ জনে। একদিনে ৯ জন রোগি ভর্তি হয়েছে। আর আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৪ জন ডেঙ্গ আক্রান্ত রোগী। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে রোগি বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৪ জন রোগীর মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী রয়েছেন। এরমধ্যে ৭-৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ জন ভর্তি রয়েছেন। যার ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। ৫-৬ ওয়ার্ডে তিন জন চিকিৎসাধীনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। মেডিসিন-৫ এ ভর্তি রয়েছে একজন পুরুষ ও চারজন নারীসহ ৫ রোগী। এছাড়া পেয়িং ওয়ার্ডে ২ জন পুরুষ এবং কেবিনে ৩ জন পুরুষ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালের এক রোগী বলেন, ডেঙ্গু রোগী ও আমাদের একসঙ্গে রাখলে স্বাভাবিক ভয়তো করবে। ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা রাখা উচিৎ।
আরেক রোগী বলেন, প্রথম অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী পাশে থাকায় ভয় লাগতো। রোগির আাপ বেশি, এখন আর ভয় লাগে না। তবে আলাদা ওয়ার্ড হলে ভালো হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হঠাৎ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতবার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড ছিল। তবে এখন সেখানে অনেক রোগী।
তিনি বলেন, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগি থাকে ১৩০০-১৫০০ রোগি ভর্তি রয়েছে। রোগির চাপ অনেক বেশি। তবুও আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করবো- ইনশাআল্লাহ। হাসপাতালের ৪ তলায় স্টাফদের রুম রয়েছে। সেটির একপাশ ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হবে। সেখানে ১৫ শয্যা থাকবে।
এখনই তো ১৫ শয্যার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, স্থান সংকট। এ জন্য যে যেখানে ভর্তি হচ্ছে, তাদের সেখানে মশারী টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নতুন ওয়ার্ডে তাদের নেওয়া হবে। ডেঙ্গু মশা বাহিত রোগ হওয়ায় তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
খুলনা গেজেট /এমএম