খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খুমেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে মেডিসিনের রোগী দেখেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক!

বশির হোসেন

কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে মেডিসিনের রোগী দেখেন আয়ুর্বেদিক ও হারবাল চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন তিনি এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে সুচিকিৎসার আশায় দুর-দুরান্ত থেকে আশা সাধারণ রোগীরা শুরুতেই প্রতারিত হচ্ছেন বিষয় ভিত্তিক চিকিৎসক না দেখাতে পেরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুমেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগের ৩য় তলায় ৩১১ নম্বর কক্ষে রোগী দেখেন অলটারনেটিভ মেডিসিন বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান। হাসপাতালের নিয়ম হল কোন রোগী যদি টিকেট কাউন্টারে গিয়ে হারবাল বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে দেখাতে চান তখন টিকিট কাউন্টার থেকে তার কাছে দেয়ার নিয়ম। কিন্তু কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর অন্য বিভাগের চিকিৎসকদের মত মেডিসিনের রোগী দেখছেন তিনি। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সম্পূর্ণ দালাল নির্ভর উদয়ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের পরীক্ষা করতে পাঠানো এই চিকিৎসকের প্রধান কাজ। তার রুম থেকে একাধিকবার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালাল আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।  প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি রোগী দেখেন এই হারবাল চিকিৎসক, যে রোগীরা হাসপাতালে এসেছিলেন অন্য চিকিৎসককে দেখাতে।

পুুরুষ ও মহিলা টিকিট কাউন্টারে কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে সারাদিন প্রতারণা চলে রোগীদের সাথে। সদ্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলী হওয়া এক চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতাল পরিচালকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হারবাল ও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক হয়েও মেডিসিন এর রোগী দেখছেন তিনি। অন্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে পরিচালক তাদের সরিয়ে দিলেও ডাঃ মেহেদীর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেননি।

খুমেক হাসপাতালের ফার্মেসী থেকে জানা যায়, প্রতিদিন অলটারনেটিভ মেডিসিন চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী অন্যান্য ওষুধ লিখে পাঠান যা লেখার কোন এখতিয়ার তার নেই। কিন্তু ফার্মেসী ইনচার্জ মফিজের সাথে যোগসাজস করে এ কাজ অনায়েসে করে যাচ্ছেন তিনি। ফার্মাসিস্ট অবনি বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন অন্যান্য ডাক্তারের মতই ডাঃ মেহেদী ওষুধ লিখে পাঠান। যা বাধ্য হয়ে দিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মাসিস্ট বলেন ডাঃ মেহেদী আরএমও ডাঃ অঞ্জন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ট হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাননা কেউই।

আরএমও ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, ডাঃ মেহেদী হাসান আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক, তিনি অন্য কোন চিকিৎসা দিতে পারবেন না। কিভাবে দিচ্ছেন, জবাব পরিচালক স্যারই ভাল দিতে পারবেন।

 

খুলনা গেজেট/এমবিএইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!