এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয় নয়ন সরদারকে। আর জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, রাকিবুল ইসলাম(পলাতক), রাজু শেখ, শাকিল মোল্লা, আজমল (পলাতক), মারুফ আহমেদ সুজন ও সাকিব আল হাসান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নগরীর ইসলাম নগর এলাকায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি নয়ন এবং অপরটি সুজন গ্রুপ। সুজন বিভিন্ন এলাকার বখাটে যুবকদের নিয়ে ইসলাম নগরে আড্ডা দিত। প্রায় সময় নয়ন তাকে নিষেধ করত। এ নিয়ে তাদের মাঝে মনমালিন্য লেগে থাকত। ঘটনার তিন দিন আগে খুলনা ইউনিভার্সিটি মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নয়ন সুজনকে অপমান করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ডের আগের দিন সুজন মোংলা থেকে দু’টি ছুরি ক্রয় করে নিয়ে আসে।
ঘটনার দিন (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সুজন গ্রুপের সদস্যারা নয়নের বন্ধু পরিচয়ে মোবাইল ফোন করে কাশ্মিরি জুস কর্ণারের সামনে ডেকে নিয়ে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ছাকিব ভিকটিমের পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এরপর রাকিব ছাকিবের হাত থেকে ছুরি নিয়ে নয়নের পিঠে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর সুজন বুক ও নাভির মাঝ বরাবর ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। তখন নয়ন রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়ে। পরে সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকান্ডের পরের দিন নিহতের ভাই রাসেল হাসান বাবু সাত জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছাকিব ও সুজনের দেখানো স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দু’টি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডে নিজের অবস্থান সম্পর্কে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে ছাকিব।
খুলনা গেজেট/এএ