খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে; আনিসুল হকসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

কেডিএ’র নতুন প্রকল্পে খুবি’র উত্তর-পশ্চিম পাশে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা

নাফি ইসলাম

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উত্তর-পশ্চিম পাশে জমি অধিগ্রহণ করে প্লট বরাদ্দে অভ্যন্তরীণ জটিলতা শুরু হয়েছে। ফলে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণ করতে পারছেন না। তবে কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের জন্য খুব দ্রুত একটা কমিটিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় কাজ শুরু করবে।

সর্বশেষ ১ অক্টোবর খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম ও সাম্প্রতিক পরিকল্পনাসমূহ নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার।

খুলনা গেজেটের অনুসন্ধানে জানা যায়, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী উত্তর-পশ্চিম পাশের জমি অধিগ্রহণের আগ্রহ আছে কেডিএ কর্তৃপক্ষের। কারণ এই এলাকার পাশে রয়েছে কেডিএ’র আবাসিক এলাকা। তাছাড়া এই এলাকায় সরকারি অনেক খাস জমি বেদখলে আছে। জমি অধিগ্রহণ করা হলে সেই জমিগুলো দখলমুক্ত হতে পারে।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে কেডিএ কর্তৃপক্ষ অত্র এলাকার জমির মালিকদের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে একটি চিঠি দেয়। কিন্তু তাতে আশানুরূপ কোন সাঁড়া পাওয়া যায়নি। ফলে ঐ সময়ে জমি অধিগ্রহণের কাজে কোন অগ্রগতি হয়নি।

তবে সম্প্রতি পুনরায় বিষয়টি কেডিএ কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়েছেন। বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরে ময়ূর নদীর পাশে আবাসিক এলাকা করার পরিকল্পনাও করেছে কেডিএ।

কিন্তু জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, খাস জমি দখলদার। যারা দীর্ঘদিন ধরে খাস জমি দখল করে আছেন তারা কোনভাবেই জমি অধিগ্রহণের পক্ষে নয়। আরেকটি পক্ষ হল যারা জমি কিনে ইতিমধ্যে সেখানে স্থাপনা তৈরী করেছেন। তারা জমির প্রাপ্যমূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় জমি অধিগ্রহণে সম্মত না। এছাড়া একটি সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা জমির ব্যবসা করেন। তারাও চান না কেডিএ জমি অধিগ্রহণ করুক।

এ বিষয়ে কেডিএ’র এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) খুলনা গেজেটকে জানান, জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। তবে সেখানে আভ্যন্তরীণ জটিলতা আছে। খুব দ্রুত একটি কমিটি করা হবে। কমিটি ঐ এলাকার খাস জমির পরিমাপ করবে। পাশাপাশি যে সকল জমির মালিক আপসে জমি অধিগ্রহণের সম্মতি দিবে তাদের তালিকা করবেন। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/নাফি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!