খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৬০
  হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি
  ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন নিহত হয়েছেন : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি

খুবিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কটকা ট্রাজেডি স্মরণে শোক দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

কটকা ট্রাজেডি স্মরণে শনিবার পালিত হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস। ২০০৪ সালের এ দিনে সুন্দরবনের কটকায় সফরে গিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ৯ জন এবং বুয়েটের ২ জনসহ মোট ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হয়ে শাহাদতবরণ করেন। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় শোকাবহ সাজে। ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের সারিবদ্ধ গাছে কালো কাপড় জড়িয়ে শোকের আবহ তৈরি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় কালোব্যাজ ধারণ করে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে একটি শোকর‌্যালি শুরু হয়ে কটকা স্মৃতি স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। শোকর‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশ নেন। এর পরপরই কটকা স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে উপাচার্যের পক্ষে ট্রেজারার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন, ইংরেজি ডিসিপ্লিন, শিক্ষক সমিতি, অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত শাহাদতবরণকারী শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অতঃপর ডিসিপ্লিন প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোঃ মাহফুজ উদ-দারাইনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ বক্তৃতা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ২০০৪ সালের এদিনে আমরা যাদের হারিয়ে ছিলাম তারা ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান, সম্ভাবনাময় তারুণ্য। দেশ ও জাতির জন্য তারা ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল। তাদের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা আর কোনদিন পরিপূরণ হবে না। আমরা স্বজন হারানো বেদনার স্মৃতি বহন করে চলেছি। আজ আমরা তাদের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

পরে শাহাদতবরণকারী শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাও. মুফতি আব্দুল কুদ্দুস। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া, এতিমদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা ৪৫ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং সন্ধ্যা ৭টায় স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ওয়েবিনারে শোকসভা ও স্মৃতিচারণ।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!