খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির নৌ শাখা কর্তৃক আয়োজিত নৌ-ক্যাডেট রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি আজ বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুন অফিসে ভর্তিচ্ছুদের মধ্য থেকে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীর ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বিএনসিসি ক্যাডেট হিসেবে ভর্তির জন্য উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। ২১ ব্যাচের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই আগ্রহে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন জাতি গঠনে স্বেচ্ছাসেবিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিএনসিসি ও স্কাউটে যুক্ত হলে জ্ঞান ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তারা সু-শৃঙ্খল জীবন গঠনের পাশাপাশি দেশের দুর্যোগকালে বা অন্যান্য কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের স্বাধীনতাত্তোর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে বিএনসিসির ক্যাডেটরা উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় অবদান রেখেছেন। করোনা মহামারির সময়ও তারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিএনসিসির নৌ উইংয়ে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ টি ডিসিপ্লিনের ৮২জন শিক্ষার্থী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৌ প্লাটুনের পক্ষ থেকে বিএনসিসির নৌ শাখার ক্যাডেট সার্জেন্ট, ক্যাডেট করর্পোরাল, ল্যান্স করর্পোরালসহ অন্যান্য ক্যাডেটবৃন্দ উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবা বিএনসিসির এই শ্লোগানকে সামনে রেখে স্বাধীনতা এবং স্বচ্ছতার প্রতীক হিসেবে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবীত করতে সাদা পায়রা উড়িয়ে নৌ-ক্যাডেট রিক্রুটমেন্টের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন উপাচার্য। পরে বিএনসিসির খুলনা ফ্লোটিলা সুন্দরবন রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
এসময় ফ্লোটিলা অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট রুম্মান বিন ইসলাম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির নৌ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও) শাপলা সিংহসহ সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস