খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে বাণী অর্চনা (সরস্বতী পূজা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় মন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, বাণী অর্চনার অন্তর্নিহিত শক্তি মানুষকে আলোকিত করা। জ্ঞান মানুষকে আলোকিত করে। কুসংস্কার থেকে বের হয়ে মানব কল্যাণে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। বাণী অর্চনার মাধ্যমে জ্ঞানের সাধন করা হয়। জ্ঞানচর্চাই এখানে মুখ্য আরাধ্য। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই সম্প্রীতি ধরে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। সম্প্রীতির এই দৃষ্টান্ত দেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ুক।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরের উন্নয়নে বাজেট আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের জন্য সার্বক্ষণিক পুরোহিত নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি সুষ্ঠুভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন করায় উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপাচার্য বাণী অর্চনা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘পঞ্চমী’এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো অর্থায়নে বাণী অর্চনা উপদযাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের মাধ্যমে স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল।
বাণী অর্চনা উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যে ছিলো- সকাল ৮টায় মন্দিরে প্রতিমা স্থাপন, সকাল সাড়ে ৯টায় দেবীর আমন্ত্রণ, সকাল সাড়ে ১০টায় পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন, সকাল সাড়ে ১১টায় প্রসাদ বিতরণ এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সকল অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড