আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায় ॥
আজ ০১লা ফাল্গুন। দখিনা দুয়ার খুলে ফাগুনের হাওয়ায় কোকিল গাইছে গান ,ভ্রমোর করছে খেলা,দ্বারে কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত।ক্যাম্পাসে বইছে বসন্তের মৃদু মন্দ বাতাস। রং বেরঙের ফুলে নবরূপে সেজেছে প্রিয় আঙ্গিনা ।
এই মহেন্দ্রক্ষণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে বসন্তবরণ উৎসব। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চায়। বিশ্বায়নের যুগে আমরা যে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করি, সেটিরও উদাহরণ আজকের এই সমবেত। নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলা ডিসিপ্লিনের এই আয়োজন। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অদম্য বাংলা চত্বরে বসন্তবরণ উপলক্ষে প্রভাতী নিবেদন ‘আবহমান বাংলা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টায় কবিতা, সঙ্গীত ও নৃত্য এবং ‘যৈবতী কন্যার মন’ নাটক মঞ্চায়ন।
বসন্ত বরণ এবং ভালোবাসা দিবস এই দুটি একসাথে হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় যেন আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তরুণ তরুণীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত।মেয়েরা লাল,হলুদ শাড়ি সঙ্গে মাথায় ফুলের মুকুট এবং ছেলেরা লাল ,হলুদ,সাদা পাঞ্জাবি পরে ঘুরে আড্ডা দিয়ে,ছবি তুলে সুন্দর সময়গুলো পার করছে।অনেকে এসেছে পরিবারের সাথে। সুন্দর মুহূর্তগুলো তারা ক্যামেরা বন্দী করছে। এছাড়াও এই উৎসব উপলক্ষে হাদী চত্বরে দেয়া হয়েছে বই,কেক এবং ফুলের স্টল।
এই উৎসবমুখর পরিবেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বসন্ত এসেছে এক অন্যরকম আঙ্গিকে। খুবই উৎসবমুখর পরিবেশ জমে উঠেছে ।প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে বসন্ত উৎযাপন করা হচ্ছে ।ক্যাম্পাসের স্টুডেন্টদের পাশাপাশি বহিরাগতরাও এই উদযাপনে শামিল হচ্ছে ।”
সবমিলিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পালিত হচ্ছে বসন্ত উৎসব।