খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর হামলায় সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ নোমান। তিনি বাংলা ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা আবদুল্লাহ নোমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদের (সাকি) কথপোকথনের এক পর্যায়ে সাবেক শিক্ষার্থী বাংলা’ ১৮ ব্যাচের আব্দুল্লাহ নোমান তর্কে লিপ্ত হয় এবং স্যারের গায়ে হাত দিয়ে আঘাত করে।
এ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলা’ ১৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নোমানকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। একই সঙ্গে হামলাকারী শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: রেজাউল করিম বলেছেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়/এমএম