বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রকৃত অর্থে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলেও সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। কারণ এই মুহূর্তে দেশের হাসপাতালগুলোতে যাওয়া যাচ্ছে না এবং বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার মতো কোনো সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। ফলে বাস্তবিক অর্থে তার স্বাস্থ্যের যে উন্নতি হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার মতো সুযোগ পেলে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল কোন উত্তর দেননি। শনিবার দুপুরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের প্রতি বিএনপির কি আহ্বান থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির যে সভা হয়েছে সেই সভায় আমরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সে অনুযায়ী সারাদেশের নেতাকর্মীদের তাদের পাশে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি উদাসীনতা ও অবজ্ঞা বাদ দিয়ে তারা যেন অবিলম্বে বন্যা কবলিতদের শুধু ত্রাণ নয় পূর্নবাসনেরও ব্যবস্থা করেন। এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে লংটাইম পরিকল্পনা নিতে হবে।
যেটা তারা কখনোই করেন না এবং অন্যের মতামতকে কখনোই প্রাধান্য দেন না। আমরা আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে তার মাঝে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কমিটি করেছি এবং আমাদের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ পর্যাপ্ত মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, মোটেও না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই করোনা পরিস্থিতির সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম না। সেই পরিস্থিতিতে আজ ঈদের দিন দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এসেছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।