খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাজনীতিতে সহবস্থান খুলনার অতীত ঐতিহ্য ছিলো তা বিনষ্ট করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নগরীতে তান্ডব শুরু করেছে ছাত্রলীগ যুবলীগ। তারা বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঁধাদান করেই ক্ষান্ত হয়নি খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা, ভাঙচুর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে।
পুর্ব নির্ধারিত বৈকালি মোড়ে খালিশপুর থানা বিএনপির সমাবেশে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা এবং ভাঙচুরের প্রতিবাদে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৫টায় মহানগর বিএনপি কার্য়ালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় খালিশপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তান্ডব চালায়। তারা পরিকল্পিতভাবে গলিতে গলিতে, পাড়া মহল্লায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে ভাঙচুর করে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ন্যাক্কারজনক আচরণ করে। যা ইতপুর্বে খুলনায় কখনো হয়নি। শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় খালিশপুর থানা বিএনপির অফিসসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন হিল্টনের ও মহসিন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক শিমুল এবং ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রুবেলে বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ভাঙচুর করে। ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির মিছিল থেকে উজ্জল নামে যুবদল কর্মীকে পুলিশ আটক করে। ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম ও যুবদল কর্মী সুমন হাওলাদারকে কুপিয়ে এবং স্বেচ্ছাসেবক দল শহিদুলকে পিটিয়ে জখম করেছে। একই সাথে যুবদল কর্মী সাইফুল ও সাগরকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে আরো বলেন, চিত্রালী বাজারে তান্ডব চালিয়ে বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালিয়েছে ও লুটপাট করেছে। শাসকদলের ক্যাডাররা ৭, ১০, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। বাস্তহারা ইউনিট বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও বোমা হামলা করেছে।
অবিলম্বে শাসকদলের শীর্ষ নেতারা যদি ছাত্রলীগ যুবলীগের লাগাম টেনে না ধরে তবে পরিণতি শুভ হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চরন করে বলেন, সন্ত্রাসীদের প্রাতিহত করা জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন যেকোন ধরনের পরিস্থিত মোকাবেলা করার জন্য। তখন সন্ত্রাসীরা পালাবার জায়গা খুজে পাবে না।
পুলিশ প্রশাসনে উদ্দেশ্যে তারা বলেন, চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনের বিপক্ষে যারা ভুমিকা রাখছেন এমনকি পুলিশের পোশাক পড়ে শাসকদলের ক্যাডারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছেন তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। একদিন তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন শান্ত খুলনাকে আমরা অশান্ত করতে চাই না। ভবিষতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়ভার শাসকদল ও পুলিশকে বহন করতে হবে।
প্রেসব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল, সম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌ. শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, হাফিকুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওয়াহেদুর রহমান দিপু, তানভীরুল আজম, রুবায়েত হোসেন বাবু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরি সাগর, জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান,ইশতিয়াক হোসেন ইশতি, সজীব তালুকদার, তাজিম বিশ্বাস, এড. কানিজ ফাতেমা আমন, আনজিরা খাতুন, সাহানা সরোয়ার, নেহিমুল হাসান নেহিম, মিসেস মনি প্রমূখ।