চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী জয়নালের ছোট ভাই হেলালকে চড় দেওয়ার অপরাধে খুন করা হয় খালিশপুরের চায়ের দোকানি লিটনকে। ভিকটিমের পুরো শরীরজুড়ে আঘাতে চিহ্ন ছিল। যা এখনও ওই এলাকার মানুষের মনে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়।
মঙ্গলবার রাতে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের লিচুতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আসামি ছাকিব হাওলাদারকে। আসামি কাশিপুর বাইতিপাড়া এলাকার জলিল হাওলাদারের ছেলে।
ছাকিব ছুরি দিয়ে ভিকটিমের শরীরে আট থেকে দশটি স্থানে আঘাত করে। গ্রেপ্তারের পর সে খালিশপুর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লিটন হত্যাকান্ডে তার ভূমিকার বর্ণনা করে। বুধবার (৯ জুন) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪ এর বিচারক ড. আতিকুস সামাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র কুন্ডু জানান, গতকাল রাত আটটায় তাকে আটক করা হয়। সে এ মামলার উল্লেখযোগ্য একজন আসামি। মামলা তদন্তের অগ্রগতির জন্য তাকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজতে থাকে। মামলায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাকিবসহ চার জনই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, লিটনের চায়ের দোকানের মাদকের ব্যবসা চলত। মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করা হলে ব্যবসায়ীরা তার ওপর চড়াও হয়। ১৬ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় আসামিরা হুমকি দেয় এবং মামলার আসামি আব্দুল্লাহ ভিকটিমকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এর দু’দিন পর রাত ১ টায় চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিটন ও তার সহযোগী মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে লিটন চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এরপর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৯।
খুলনা গেজেট/ এস আই