আপন খালাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত রানা সরদারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আরবি গোলদার (২০) ও রাব্বি হোসেন গোলদার (২৫) দু’জনই মৃত আকবর গোলদারের ছেলে । তারা সোনাডাঙ্গা আলীর ক্লাব ইউসুফ স্কুলের পাশে ডাক্তার দুলালের বাড়ির ভাড়াটিয়া । নিহতের মা ডলি বেগম মঙ্গলবার (২৫ মে) সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২১ মে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আলীর ক্লাব মোড় ইউসেফ স্কুলের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে আপন খালাতো ভাই আসামী রাব্বি হোসেন গোলদারের ছুরির আঘাতে ভিকটিম রানার বুকের ডান পাশে রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনাস্থলে রানা রক্তাক্ত অবস্থায় ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আসামিরা ভিকটিমের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন হওয়ায় ঘটনার বিষয়ে আপোষ মিমাংসা করার জন্য এবং ভিকটিমের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে থানায় এজাহার দায়ের করেনি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা।
পরবর্তীতে ২৪ মে রাতে ২টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রানার মৃত্যু হলে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহতের মা বাদি হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় চারজন আসামীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা তিনজন উল্লেখ করে মামালা করেন। মামলার পরপরই দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অনুপ কুমার ঘোষ জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি রাব্বি হোসেনকে নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালি এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে রাত ১১টায় গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার অপর আসমি আরবি গোলদারকে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়া এলাকা থেকে দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।
আগামীকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি