অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেছেন, খামখেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদে পড়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতি বিপদে পড়ার আরেকটি বড় কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করার হিড়িক। এরকম স্বল্প প্রয়োজনীয় প্রকল্প যদি গৃহীত হতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ শিগ্গিরই শ্রীলংকার মতাে ঋণের ফাঁদে পড়ে যাবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা: সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. সুশান্ত দাস প্রমুখ।
ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, এর থেকে এ বছর আরও ১ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত কমতে কমতে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে গেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বড়সড়ো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বেনজীর ইস্যুতে ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পেছনে দুজন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তার মধ্যে একজন হচ্ছেন বেনজীর আহমেদ। যিনি বর্তমান সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। তিনি পুরো পুলিশ প্রশাসনকে অপব্যবহারের উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন, সেটা কি সরকারের জানা ছিল না। সরকার কি এর সুবিধা ভোগ করেনি। এখন তাকে আমরা টার্গেট করেছি, তাই ছুড়ে ফেলে দিয়েছি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের ডলার সংকটের মূল্য দিচ্ছে জনগণ। মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। এ বাড়তি কর জনগণ দিচ্ছে। সংসার চলে না মানুষের।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি, অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ ধনিক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে হবে। পাকিস্তানের ২২ পরিবার থেকে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এসেছে, এখন কতশত পরিবার তার হিসাব নেই।
আমরা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিইনি; কিন্তু পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরাইল তুলে নিয়েছি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে জানেন না। এভাবে অগোচরে কাজ হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেডি