করোনার সংক্রমণ বিস্তাররোধে জেলা প্রশাসনের কঠোর বিধি-নিষেধের আজ (৪ জুন) প্রথমদিন। খুলনা মহানগরের তিন থানা ও জেলার রূপসা উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগনকে বাধ্য করাতে এই বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও রূপসা ও জেলখানা খেয়াঘাটের চিত্র একেবারে ভিন্ন। অধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাগুলো পার হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫ টায় জেলখানা খেয়াঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নৌকায় যাত্রী ওঠানোর ক্ষেত্রে কোন নিয়মই মানছেন না মাঝিরা। অন্য সময়ের থেকে ভাড়া বেশী নিলেও যাত্রী তুলেছেন বেশি। থাকছে না শারীরিক দূরত্ব, উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
বিকাল সাড়ে চারটায় রূপসা ঘাটে কথা হয় নৈহাটি ইউনিয়নের আবু শাহাদাৎ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, নৌকায় ১২ জন যাত্রী ওঠানোর কথা থাকলেও সেখানে ২০ জন করে নেওয়া হচ্ছে। ভাড়াও বেশী নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জেলখানা খেয়াঘাটের চিত্র একই। অধিক যাত্রী নিয়ে খেয়া পারপার হতে দেখা গেছে অধিকাংশ ট্রলারে। ভাড়াও দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে সেখানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা হেলাতলার একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, সকালে তিনি ট্রলারে নদী পার হয়ে ব্যবসার কাজে তেরখাদা গিয়েছিলেন। তখন ঘাটের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। মাইকিং করে সকলকে বিধি নিষেধের কথা জানানো হলেও কেউ মানছেন না। খুলনায় করোনার ভারতীয় ধরণ পাওয়া গেছে। এখন থেকে সচেতন না হলে লকডাউন বা বিধি নিষেধ দিয়ে কোন লাভ হবে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই