বৈশাখী দুপুরের দহন শেষে সোমবার বিকেলে খরতার আকাশে জমেছে ঘন মেঘ, সন্ধ্যা থেকে দমকা হাওয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরেছে খুলনার উপকূলীয় কয়রায়।
দীর্ঘ ছয় মাসের ও বেশি সময় বৃষ্টিহীন থাকায় খাল বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছিলো। আর অস্বস্তিকর গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিলো জন-জীবন। সেই পরিস্থিতি থেকে মিলল সাময়িক মুক্তি। মেঘে ও বৃষ্টির জেরে ধরণী যেনো শীতল হলো। হালকা স্বস্তি ফিরল প্রকৃতিতে। একই সাথে খানিক পরপর মেঘের গর্জন, আকাশে বিদ্যুতের আলোর ঝলকানি। দীর্ঘ খরার পর শান্তির বৃষ্টির পরশ পেতে সকালে অনেকেই রাস্তায় নেমে আসেন।
নির্মাণ শ্রমিক সাইফুল বলেন, গত কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে, তাছাড়া ২/৩ সপ্তাহে এতো গরম কাজ করতে পারিনা, আজ বৃষ্টি হচ্ছে শান্তিতে কাজ করতে পারবো। তার সাথে থাকা নির্মাণ শ্রমিক আলম ও ফেরদৌস ও একই কথা বলছিলেন।
অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে বোরো ধান ও তরমুজ চাষিরায় বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে ফসলের উপরকার হবে। আর মাটিও প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম