খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামে বাবা-মা ও মেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের ৬ষ্ঠ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। ক্লু উদ্ধার করতে ওই এলাকায় কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয়রা বলেন, উপজেলায় স্মরণকালেও ইতোপূর্বে এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এলাকার মানুষ সন্ধ্যার পর কেউ বাজারে বা চায়ের দোকানে থাকছেন না। সন্ধ্যার আগে সবাই ঘরে ফিরছেন।
এ ঘটনার পর ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে জিয়াউর, আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও মহেশ্বরীপুর ইউপির ভাগবা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আবদুল খালেক সরদার।
বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর সকালে তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার ৩০ অক্টোবর রাতে রিমান্ড শেষে জিয়াউর, সুলতানা ও আবদুল খালেক সরদারকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কয়রা থানার এসআই আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হত্যার প্রকৃত রহস্য শীঘ্রই উদঘাটন করা যাবে বলে আশা করছি।
খুলনা গেজেট/এনএম