খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের গড়িয়াবাড়ি জিপিএস ওয়াপদা সড়কের ৩০ মিটার চেইনের ৩ বাই ৩ মিটার আকারের ডাবল ভেন্ট বক্স কালভার্ট নির্মাণে মরিচা ধরা রড ও কাঠের সার্টার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে জানাযায়, ২০১৯/২০ অর্থ বছরে ২০ লক্ষ ২৬ হাজার ৬ শত ৩ টাকা ব্যায়ে বক্স কালভার্ট নির্মানের কাজটি পায় সুমন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এবং কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০ জুন ২০২০ ইং তারিখের মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ।
সরজমিনে শনিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার সদরের গড়িয়াবাড়ি ডাবল ভেন্ট বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজে ঘুরে দেখা যায় মরিচা ধরা রড ও কাঠের সার্টার ব্যাবহার করে ঢালাই কাজ চলছে।
এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাযায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফেলতায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। নিদ্রিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে সম্প্রতি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটি কাজ শুরু করে এবং বিগত ১ বছর আগে এনে রাখা মরিচা ধরা রড ও স্টিলের সাটারের পরিবর্তে কাঠের সার্টার ব্যবহার করে কাজ করছে।
পরবর্তিতে এলাকাবাসি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করলে, তিনি সরেজমিনে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী মরিচা ধরা রড ও কাটের সাটার ব্যবহার করায় কাজটি বন্ধ করে দেন এবং নিয়ম মাফিক কাজ করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজের অংশীদার মোঃ মিরান হোসেন বলেন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে যথাসময়ে কালভার্ট নির্মাণের কাজ করা সম্ভব হয়নি। নির্মান কাজে মরিচা ধরা রড ব্যবহার করা হয়নি। সেগুলো ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুর রহমান তালুকদার বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলীর মৌখিক অনুমতি নিয়ে মরিচা পড়া রড ও কার্টের সাটার ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি।
এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে এনে রাখা মরিচা ধরা রড ব্যবহার না করার জন্য বলা হলেও উপজেলা প্রকৌশলীর ইচ্ছামত মরিচা ধরা রড এবং ওয়ালে স্টিলের সার্টারের পরিবর্তে কাঠের সার্টার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই