সরকারি নির্দেশনা প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও খুলনার উপকূলীয় কয়রায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কারো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি আজ অবধি। এসকল স্কুলগুলোতে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে। বাধ্য হয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একদিনের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করতে হয় শহীদ মিনার। সেখানেই কোনো মতে জানানো হয় ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় ১৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যার ভিতর ৯ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। আর ১৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার। সরকারিভাবে দিবসটি উপলক্ষে নেওয়া হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। এসকল স্কুলগুলোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে তাৎক্ষণিক অস্থায়ি শহীদ মিনার তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় ব্যানার টানিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন করে দিবসটি পালিত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, আমাদের যে সকল স্কুলে শহীদ মিনার নেই সেসব স্কুলের তালিকা করা হয়েছে। আর ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন কলাগাছ, ইট অথবা তক্তা দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করতে হবে। আর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাড়াতাড়ি স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।