খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ট্রিপল মার্ডারের বাদীর সংবাদ সম্মেলন কে সমর্থন জানিয়ে ও তদন্ত হস্তান্তর ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সহ আসন্ন রমজান এর আগে নিরীহ মানুষের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
গ্রামবাসীর উদ্যোগে আজ শুক্রবার(২৫ মার্চ) দুপুর ২ টায় স্থানীয় বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলো স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি সহ সর্বস্তরের ব্যাক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এলাকার সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়েছে। এলাকার কথিত গুজব পরকিয়া নিয়ে এক রাতের ঘটনা কে কেন্দ্র করে পরকিয়ার নাটক সাজিয়ে মুল আসামিদের আড়াল করা হচ্ছে। অথচ পুলিশ যাচাই বাছাই না করেই আব্দুর রশিদ এর জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে পুলিশ রশিদ এর সন্দেহের কারণ নিয়ে যাচাই বাছাই পুর্বক জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারতো।
বক্তারা বলেন, আব্দুর রশিদ ও হাবিবুল্লাহ তক্ষক সাপ ও সিমানা পিলার এর ব্যবসা করতো। তারা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলো। কিন্তু এলাকার লোকজন এ বিষয়ে ততটা অবগত ছিলো না। আব্দুর রশিদ কে হাবিবুল্লাহর শশুর সন্দেহ করেন। তিনি জানান তাদের মধ্যের সম্পর্কের কথা, তিনি জানান হাবিবুল্লাহ ও আব্দুর রশিদ তার বাসায় তক্ষক সাপ ও সিমানা পিলার এর ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনা করতো।
বক্তারা বলেন, ওইদিন সন্ধায় হাবিবুল্লাহ এর বাড়ীতে অপরিচিত লোকজন এসেছিলো অথচ পুলিশ সেদিকে তদন্ত করছে না। গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল ওহাব ও তামলিমা এর পরিবার এর সাথে গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল্লাহ ইসলাম বাবলু ও শামিমুল ইসলাম অন্জন এর পরিবাবের সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। তারা একে অপরের সাথে কথাও বলে না। তারা কিভাবে একসঙ্গে হয়ে এরকম একটি জঘন্যতম অপরাধে জড়াতে পারে?
সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআই অথবা সিআইডির নিকট হস্তান্তরের দাবী জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আব্দুর রশিদ মুল ঘটনাটি আড়াল করতেই এই পরকিয়া ঘটনাটি সাজিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই