খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা
  হাইকোর্টে ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ, আজ শপথ

কয়রার ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি(ভিডিও)

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

কয়রার ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত হাবিবুল্লাহর মেঝ ভাই মফিজুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামি রশিদ গাজী হাবিউল্লাহকে সাথে নিয়ে পিন ও তক্ষক সাপের ব্যবসা করত। যা আমাদের জানা ছিল না। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। হত্যাকন্ডে জড়িত থাকার মর্মে রশিদ গাজী যাদের নাম বলেছে তারা এ হত্যাকন্ডের সাথে জড়িত নয়। জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আছে এমন ব্যক্তির সাথে তিনি তাদের ফাসিয়েছে। মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ তাদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখছেনা। তাদের কোন কথায় কোন কর্ণপাত করছেনা। মূল আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তিনি মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশ বা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত হাবিবউল্লার বড় ভাবি সোনিয়া বেগম বলেন, অবৈধ পিন, তক্ষক সাপের ব্যবসা ও টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হতে পা‌রে। হত্যাকান্ডের চারদিন আগে নিহত হাবিবুল্লার স্ত্রী তার মা’কে ফোন করে বলেছিল আমাদের ঘরে একটি পিন আছে যা অনেক মূল্যবান। এর আগে আসামি রশিদ গাজী ও তার খালু শ্বশুরকে সাথে নিয়ে হাবিবুল্লাহ তার শ্বাশুড়ি বাড়ি চট্রগামে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়েও তার পিনের কথা বলাবলি করে শুনেছেন বলে নিহতের শ্বাশুড়ির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যা থেকে হাবিবুল্লাহর বাড়িতে দু’জন ব্যক্তি আসে। তাদের নিহতের পরিবারের সাথে কারও পরিচিতি নয়। ঘটনার দিন রাতে ওই অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনা বেশ দেখা গিয়েছিল। ২৫ অক্টোবর রাতে নিহত হাবিবুল্লাহ ও তার স্ত্রী’র হঠাৎ ৪৯ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। এলাকার বিভিন্ন লোক মারফত তিনি টাকাটা ধার নিয়েছিলেন।

টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে ভিকটিম জানান, তোমাদের কিছু জানার প্রয়োজন নেই। তবে কিছুদিনের মধ্যে টাকার বিছানায় ঘুমাবো বলে সে জানিয়েছিল। হত্যাকান্ডের পর ঘর থেকে একটি শার্ট ও একজোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। যা অনেক মূল্যবান। যা ওই এলাকার কেউ ব্যবহার করেনা। হত্যাকান্ডের পূর্বে ধর্ষণের যে চাউর উঠছে সেটিও সঠিক নয় বলে তার দাবি। শুধু পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ডটি হয়েছে সেটি সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনাটি সবার সামনে উন্মোচন করার জন্য তিনি মামলাটি পিবিআই বা সিআইডির কাছে হস্তান্তরের কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা মোছা: কোহিনুর বেগম, মেঝ ভাই‌য়ের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ও মেঝ ভাই মফিজুল ইসলামসহ এলাকার মানুষ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর সকালে বামিয়া গ্রামের মাজেদ গাজীর বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি খাতুন ও তার কন্যা হাবিবা খাতুন টুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা কোহিনুর খামন বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!