শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের খুন-জখমে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মোহাম্মদ মুছা নামে ওমান প্রবাসী বিএনপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ই জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের খুন-জখমে আরও বেশী বেপরোয়া ও নৃশংস হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুছার মৃত্যু নিষ্ঠুর আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মমতার ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্ক যোগ হলো। এই নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যই হলো জনগণের ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাস আর খুন-খারাবির মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসে দেশে ভয়াবহ দু:শাসন জারি রাখা। মিথ্যা গলাবাজিই এদের শাসনের মূলমন্ত্র। মানুষের রক্তে হাত রাঙাতে এরা এতটাই নিষ্ঠুর যে, মানুষ হত্যা করে এরা উল্লসিত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে ৭ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় দাম্ভিক হয়ে উঠেছে।
ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হত্যা আর রক্তপাত ঘটালেও তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নেমে এসেছে প্রাণবিনাশী সর্বনাশা আক্রমণ। তবে কোন কর্তৃত্ববাদী নিপীড়ক সরকারই জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে বেশীদিন টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীও পারবে না।
মোহাম্মদ মুছাকে হত্যাকারী চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। পাশাপাশি নিহত মোহাম্মদ মুছার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন মির্জা ফখরুল।