জন্মগতভাবে পায়ে সমস্যা খুলনা নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. হাসেমের। হাঁটতে পারেন না, চলাফেরা করেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে। সেই ক্র্যাচে ভর দিয়ে ৭২ বছর বয়সী হাসেম এসেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে। তিনি প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি।
সোমবার (১২ জুন) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন হাশেম।
বৃদ্ধ হাসেম বলেন, ভোটকেন্দ্রে এসেছি সকাল ১০টার দিকে। শান্তি মতো ভোটটা দিয়েছি। এমন ভোট যেন সবাই দিতে পারে। আমি এটুকু আশা করি। সবাই যেন ভট্টা শান্তি মত দিয়ে আসে কোন গন্ডগোল বা বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সেটা আমরা চাই।
তিনি বলেন, এর আগেও আমি ভোট দিতে এসেছি। তখন গন্ডগোল ছিল, অত্যাচার ছিল। এবছর আমি কোন অত্যাচার দেখি না। এবার আমি কোন গন্ডগোল দেখিনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছি।
আগে কখনও ইভিএমে ভোট দেননি জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগে আমরা সীল দিয়ে ভোট দিয়েছি। এখন মেশিন বের হয়েছে। মেশিনে ভোট দিয়ে খুব ভালো লাগছে।
ভোট দিতে কোন সমস্যা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে, কোন বাটনে টিপ দিতে হবে। সেইভাবে আমি ভোট দিয়েছি। আমার ভোটটা আমি পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরেছি, এটাই আমার খুব খুশি লাগছে।
হাসেম সোয়া ৯ টার দিকে রিকশাযোগে খুলনা কলেজ স্কুল কেন্দ্রে আসলে সেখানে থাকা কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে দোতলার ৬ নং বুথে নিয়ে যান। ভোট দেয়া শেষে আবার তাকে দুই তলা থেকে নেমে আসতেও সাহায্য করেন পুলিশ সদস্যরা।
বয়োবৃদ্ধ হাসেমকে বুথে নিয়ে যাওয়া এবং ভোট দেয়া শেষে সেখান থেকে নামিয়ে আনার কাজটি করেন কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য এস এম শাহাদাত। তিনি বলেন, সব ভোটারকে সাহায্য করাই আমাদের কাজ। এর মধ্যে যারা বৃদ্ধ, বিশেষ করে হাঁটতে পারেন না বা চলাফেরা করতে পারেন না তাদেরকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বুথে পৌঁছে দিচ্ছি।
এছাড়া এই কেন্দ্রে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ভোটারদের কোন প্রকার মোবাইল বা ইলেকট্রিক ডিভাইস দিয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/এসজেড