খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত
  শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীর মালামাল লুট

ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়ায় বিজিবি সিপাহীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে ভারত ফেরত বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকির অভিযোগে বেনাপোল বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ ।

মামলার বাদী মাসুদ আহমেদের অভিযোগ, তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভিসায় ভারতে যান। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার সময় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুলপ্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিকস পণ্য ভারত থেকে নিয়ে আসেন। ওই মালামাল নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

পথিমধ্যে বেনাপোলের সাদিপুর রাস্তার মোড়ের পূর্বপাশে জিএম পরিবহন কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে এসে ইজিবাইকের গতিরোধ করেন। এ সময় বাদীকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল কোম্পানী ক্যাম্পে নিয়ে যান। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভেতরে মালামাল নিয়ে যায়।

এ সময় আসামি বাদীকে জানায়, তার এসব মালামালে সমস্যা আছে। তাকে ৫০ হাজার টাকা দিলে মালামাল ছেড়ে দেবেন। বাদীর কাছে টাকা নেই জানালে আসামি বাদিকে গালিগালাজ করেন। বাদি আসামির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবে বললে আসামি বাদিকে বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে আমি ক্রসফায়ার করাবো অথবা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো। এক পর্যায়ে মালামাল রেখে বাদিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। উক্ত ঘটনা ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিবি বেনাপোল কোম্পানীর সিপাহী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোন মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।

অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সাহেদ মো. মিনহাজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন বিজিবি সদস্য কারো মালামাল লুট করতে পারে না। বরং তারা উদ্ধার করে কাস্টমসে জমা দেন। তিনি বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে ওই বিজিবি সদস্যকে আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!