খুলনা জেলা পরিষদের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ১৩৭ ভোট নিয়ে এ নির্বাচন। চেয়ারম্যান ও ১৫ টি সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট হবে একটি কেন্দ্রে। ভোটের তারিখ ১৭ অক্টোবর।
আজ ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিন। জেলা প্রশাসক এ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার এবং ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ।
জেলা পরিষদের ভোটাররা হচ্ছেন কেসিসি মেয়র, কেসিসি’র সাধারণ ওয়ার্ডের ৩১ জন কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের ১০ জন কাউন্সিলর, ৬৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৯ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছেন, এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত খানিকটা অনুরূপ। ফলে শাসক দলের মধ্যেই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। গেলবার চেয়ারম্যান পদে শাসক দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনর রশীদের বিরোধী প্রার্থী ছিলেন অজয় সরকার। তিনিও শাসক দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এবারের নির্বাচনে শাসক দলের মনোনয়নের জন্য ৪ জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। প্রার্থীরা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা এবং কেসিসি’র সাবেক মেয়র ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট কাজি আমিনুল হক। শেখ হারুনুর রশীদ প্রার্থী হবেন এমন প্রত্যাশা করেছেন অনেক আগে থেকেই। প্রশাসক হওয়ার জন্য তিনি দৌড়ঝাপ করেন। মিজানুর রহমান মিজান গ্রীন সিগনালের অপেক্ষায় আছেন।
নগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা এ প্রতিবেদককে জানান, জেলাবাসির প্রত্যক্ষ সেবা করার জন্য তিনি প্রার্থী হতে চান। জনসেবার এটি সরাসরি মাধ্যম বলে তিনি জেলা পরিষদের প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন।
খুলনা গেজেট/এমএম