খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১০ নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শুন্য ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে সরকারি দলীয় শীর্ষ নেতা, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত সিটি মেয়রের সীমাহীন বেআইনি অপতৎপরতা, নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলের ত্রাণ বিতরণ, সিটি কর্পোরেশনের সিডিপির মহিলা কর্মীদের সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা, বিভিন্ন বাজার ও দোকান মালিক সমিতিকে নির্বাচনী কাজ করতে বাধ্য করা, কালো টাকা বন্টন, বিএনপি কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্বাচনে শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের এনে তিন ওয়ার্ডে ভোট সেন্টারের আশেপাশে জমায়েত করে বিএনপির ভোটারদের পথ অবরুদ্ধ করে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা ও নির্বাচনের দিন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকার সকল সেন্টারে গাড়ী বহর নিয়ে মহড়া দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সিটি মেয়রের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া আইনগত ভাবে নিষেধ থাকলে তিনি আইনের কোন তোয়াক্কা করেননি বরং বিভিন্ন ব্যানার ব্যবহার করে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় সভা সমাবেশ করেছেন, প্রভাবিত করেছেন প্রশাসনকে। নির্বাচনী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষিদ্ধ ও বেআইনি সকল কাজ করে নিজের কতৃত্ব জাহির করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভোটার শুন্য নির্বাচন প্রমান করে বিগত সকল নির্বাচনে সীমাহীন ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশনও সরকারের প্রতি অনাস্থার কারণে ভোটারা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সরকারি দলীয় শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তাদের বাঁধা দেয়নি। এতেই প্রমানিত হয় বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে অবাধ সুষ্ঠ, গ্রহনযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন সম্ভব নয়। নেতৃবৃন্দ ভোটার শুন্য এ নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. বজলুর রহমান, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই