খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম বিমানবন্দরে আটক; স্ত্রী সহ কানাডার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি
  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর
নগরী মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে

কেসিসিকে মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম চালুর দাবি বিএনপির

গেজেট ডেস্ক

খুলনা নগরীতে দিনরাতে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনেও মশারি বা কয়েল জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এতে চরম ভোগান্তির পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে ডেঙ্গুর মৌসুমকে ঘিরে নগরবাসীর মধ্য উদ্বেগ বাড়ছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সদ্য বিদায়ী দুর্নীতিবাজ মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকতারা সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ নালা-নর্দমা ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে খুলনা। ফলে চলতি বছরে মৃত্যু ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর খুলনায় ২ হাজার ৬২৬জন আক্রান্ত ও ১৫জন মৃত্যুবরণ করেছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বছরজুড়ে বিস্তার লাভ করা মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা খুবই কম। সিটি করপোরেশনের নালা-নর্দমা ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার এবং বর্জ্য অপসারণ না করায় নগরী এখন মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত এবং মশক নিধনে খুলনা সিটি করপোরেশনের তেমন সক্ষমতা নেই। কোন এলাকায় মশার বংশবিস্তার কেমন বা লার্ভা বেশি, সে বিষয়ে ধারণা নেই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের। শুধু তাই নয় মশক নিধনে সিটি করপোরেশন এখনও অকার্যকর ওষুধ এবং ফগার মেশিনের ওপর নির্ভর।

নেতৃবৃন্দ খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রামের আওতায় পরিস্কার পরিছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিচালনার দাবি জানিয়ে বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধক সিটি করপোরেশনের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হলেও সিটি করপোরেশনের চলমান কাজের অগ্রগতিতে তা মনে হয় না। আবার চলমান কাজের মান তদারকির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্বলতার কারনে সিটি করপোরেশনের অধিবাসীরা সেখান থেকে কাংখিত সেবা পাচ্ছে না। সিটি করপোরেশন পরিচালিত পরিস্কার পরিছন্নতা কাজে বিপুল পরিমান পরিছন্ন কর্মী, সুপারভাইজারসহ নানা লোকবল নিয়োগ করা হলেও মাঠে তাদের দেখা মেলা ভার। যার কারণে সিটি করপোশেনের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও সেবার মানের কোন পরিবর্তন হয়নি।

তারা আরো বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। একই সাথে স্থানীয় মশক নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমে কেসিসির প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের তদারকি নিশ্চিত করার আহবান জানান। খবর বিজ্ঞপ্তির।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!