খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কেশবপুর পৌর মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

গেজেট ডেস্ক

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কেশবপুর আমলী) আদালতে এ মামলা হয়।

মামলার বাদী কেশবপুরের ব্রক্ষ্মকাটি গ্রামের খন্দকার রফিকুজ্জামানের ছেলে মিশাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার মফিদুল ইসলাম। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন কেশবপুর উপজেলার ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মোড়লের ছেলে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, বালিয়াডাাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর আলী খাঁর ছেলে মফিজুর রহমান খাঁ ও কান্তা বাড়ইহাটি গ্রামের আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে আলমগীর সিদ্দিক।

বাদীর অভিযোগ, মিশাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার মফিদুল ইসলাম ১২ বছর ধরে উপজেলার ব্রক্ষ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা ও রামচন্দ্রপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সুনামের সঙ্গে ক্যাবল ব্যবসা করে আসছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে পৌরসভার মেয়র অপর দুই আসামিকে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। মাসে মাসে চাঁদার টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখানো হয়। শান্তিতে ব্যবসা করার লক্ষ্যে তিনি মফিজুর ও আলমগীরকে এক লাখ টাকা চাঁদা দেন।

কিছুদিন পর আলমগীর এক লাখ টাকা নিয়ে মেয়রের সঙ্গে তাকে দেখা করতে বলেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৫ জুন মফিদুলকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। ৩০ জুলাই আসামিরা লোকজন নিয়ে তার অফিসে গিয়ে তাকে মারপিট করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে খুন করবে বলে হুমকি দেন। এর মধ্যে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যান। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এ জন্য তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী মিশাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার মফিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা খুবই হাস্যকর। বাদীর সঙ্গে বহু দিন দেখা হয়নি। টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তাই কখনো সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাদের রাজনীতির মূল দর্শন, তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য এসব মিথ্যা মামলা করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই মনগড়া অভিযোগ করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!