কেশবপুরে মটর সাইকেল চালক রাসেল হত্যার ৫ দিনে অতিবাহিত হলেও কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি। পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করেছে।
কেশবপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবদিয়া এলাকার মাজেদ আলী মোড়লের পুত্র মোঃ রাসেল (২২) একজন ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক। গত ১৬ আগষ্ট রাতে ২ জন বাহক নিয়ে চুকনগর হয়ে পাটকেলঘাটায় যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১২ টায় রাসেলের ব্যবহৃত মোবাইল টি বন্ধ পায় তার পরিবার। ১৭ আগস্ট সকালে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের টেপার বিলে ধান ক্ষেতে তাঁর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। কেশবপুর থানা পুলিশ তার লাশ মর্গে প্রেরণ করে এবং এলাকার গোপসেনা গ্রামের একটি বাগানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মটর সাইকেল টি উদ্ধার করে চিংড়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
রাসেল হত্যার ঘটনায় তার পিতা মাজেদ মোড়ল বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে ৩০২, ৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩, তাং- ১৮/০৮/২০২১। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিন্টুলাল দাস রাসেল হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ১৮ আগস্ট রাতে ভালুুকঘর গ্রামের জাবেদ আলী গাজির পুত্র রাশেদ আলী গাজি ও সাবান আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও গত ৫ দিনে মামলার কোনো রহশ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিন্টুলাল দাস জানান প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই রাসেল হত্যার রহশ্য উদঘাটন করতে পারবো।
খুলনা গেজেট/কেএম